আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই ব্লগ টা নতুন ইউটিউবারদের জন্য, যারা ইউটিউবে অনেকদিন ধরে কাজ করতেছেন এবং নতুন এসেছেন তাদের ভিতরে সবথেকে বড় সমস্যা হলো তাদের ভিডিওতে ভিউজ হয় না এবং তাদের চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব আসে না এই সমস্যাটা থেকে কিভাবে আপনার বেরিয়ে আসবেন কিভাবে আপনার চ্যানেলে ভিডিওতে বেশি বেশি ভিউ আনবেন এবং আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়াবেন এর জন্য কিছু স্পেশাল টিপস আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তাই ব্লগ টা মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ইউটিউব হলো পৃথিবীর ভিডিও শেয়ারিং এর সবথেকে বড় প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি আপনার ভিতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা শেয়ার করতে পারবেন, আপনার ভিতরে যে প্রতিভা আছে এটা প্রথমত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, তাহলেই আপনার চ্যানেলটা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে।
আপনি ভিডিও আপলোড করেই গেলেন করেই গেলেন যদি ভিডিওতে সঠিকভাবে আপনি এসইও না করেন এবং ইউটিউব এর সঠিক গাইডলাইন না মেনে কাজ করেন, তাহলে এই সময়টা আপনার একদম বৃদ্ধ হয়ে যাবে। কিভাবে সঠিকভাবে কাজ করবেন কিভাবে আপনার ভিডিওতে ভিউ আনবেন এগুলোই আজকের ভিডিওতে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।
নং ১
নং ২
নং ৩
নং ৪
ভিডিওতে ভিউ আনার জন্য আমি মনে করি থাম্বনেইল সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটা ভিডিও থাম্বনেইল যত বেশি আকর্ষণীয় এবং সুন্দর হবে সেই ভিডিওটা মানুষ ক্লিক করার সম্ভাবনা ঠিক ততটাই বেশি থাকবে। কেউ একটা ভিডিও ইউটিউবে সার্চ করল এখন ধরুন আপনার ভিডিওটা তার সামনে গেলো কিন্তু আপনার ভিডিওটার থাম্বনেইল ভালো না, যার জন্য মানুষের আকর্ষণ করতে পারতেছে না, তখন কিন্তু মানুষ আপনার ভিডিওতে ক্লিক করবে না। কারণ মানুষ যখন ইউটিউবে সার্চ করে প্রথম থাম্বনেইল এর দিকে চোখ যায়! তো আমি মনে করি থাম্বনেইল সব থেকে বেশি সুন্দর করে করা প্রয়োজন। যখন একটা ভিডিওর থাম্বনেইল অনেক বেশি সুন্দর হবে তখন মানুষ এই থাম্বনেইল এর পরে ক্লিক করবে এবং আপনার ভিডিওতে ভিউ চালে আসবে এবং ভিডিওতে সঠিক ইনফরমেশন থাকলে অবশ্যই আপনার চ্যানেলটা সাবস্ক্রাইব করবে।
নং ২
ইউটিউব চ্যানেল গ্রো করা অথবা ভিডিওতে বেশি বেশি ভিউ আনার জন্য অবশ্যই আপনার টাইটেল টা কে সুন্দরভাবে দিতে হবে। আপনার ভিডিও টাইটেল টা কে সার্চ দিলে যেন মানুষ পায় সে রকম টাইপের একটা টাইটেল আপনার ভিডিওতে দিতে হবে। আপনি যে টপিক এর ওপরে ভিডিও তৈরি করতে চাচ্ছেন প্রথমত ইউটিউবে গিয়ে ওই টপিক টা লিখে সার্চ করবেন, সার্চ করার পরে প্রথম দুই থেকে তিনটা ভিডিও টাইটেল দেখে আপনি আপনার ভিডিওর জন্য একটা টাইটেল নির্বাচন করবেন এবং সেটা আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করবেন সেক্ষেত্রে সুন্দর একটা টাইটেল আপনার ভিডিওতে আপনি নির্বাচন করতে পারবেন এবং মানুষ সার্চ করে এই টাইটেল এর জন্য আপনার ভিডিওটা পাবে সেখানে থেকে মানুষ ক্লিক করবে এবং আপনার ভিডিওতে ভিউ আসবে। যদি আপনার ভিডিওগুলো প্রকৃতপক্ষে ভালো হয় তাহলে সে অবশ্যই আপনার চ্যানেলটা কে সাবস্ক্রাইব করবে।
নং ৩
তিন নাম্বারে একটা ভিডিও রেংক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই ভিডিওটার ওয়াচ টাইম অর্থাৎ আপনার ভিডিওটা মানুষ কত সময় ধরে দেখতেছে। যে ভিডিওটার ওয়াচ টাইম যত বেশি, সেই ভিডিওটা রেংক করার সম্ভাবনা ঠিক ততোটাই বেশি। ভিডিওর ওয়াচ টাইম সব সময় বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে, অর্থাৎ একটা ভিডিও আপনি পাঁচ মিনিটের আপলোড করলেন সেই ভিডিওটা যদি মানুষ ৫ সেকেন্ড অথবা ১০ সেকেন্ড দেখে চলে যায়, তাহলে ইউটিউব মনে করবে যে আপনি মিস লিডিং করেছেন! অথবা আপনার ভিডিওর ভিতর সঠিক ইনফর্মেশন নাই যার জন্য মানুষ আপনার ভিডিওতে ক্লিক করে বেরিয়ে যাচ্ছে। অতএব আপনার ভিডিওটা যদি পাঁচ মিনিট হয় তাহলে এখানে আপনার নূন্যতম আড়াই মিনিট অথবা তিন মিনিট ভিডিওটা দেখতে হবে সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর ওয়াচ টাইম ভালো হবে এবং পুরা ভিডিওটা যদি দেখে তাহলে তো আরো বেশি ভালো। অর্থাৎ একটা ভিডিও যত বেশি পারসেন্টেন্স মানুষ দেখবে আপনার ভিডিওটা রেংক করার সম্ভবনা ঠিক ততো বেশি। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে ভিডিওর ভিতর ইম্পর্টেন্ট কোন কিছু রাখার, যার জন্য মানুষ আপনার ভিডিও টা শেষ পর্যন্ত দেখে।
নং ৪
এর পরে আসি ভিডিওর ডিস্ক্রিপশন এবং ট্যাগ ডিস্ক্রিপশন এর প্রথম দিকে অবশ্যই ভিডিও রিলেটেড কিছু কিওয়ার্ড আপনি প্যারা আকারে লিখে দিবেন, সে ক্ষেত্রে এখান থেকে আপনার SEO স্কোর টা বেড়ে যাবে। আপনারা ডিসক্রিপশন এ সুন্দর সুন্দর কিওয়ার্ড যদি রাখতে পারেন তার জন্য আপনার ভিডিওটার SEO রেংকিং হাই হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিওটা সহজে রেংক করার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি ভিডিও রিলেটেড কিছু ট্যাগ আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করবেন। এগুলো আপনি ভালো করে ট্যাগ জেনারেটর এর মাধ্যমে অথবা যেকোন ভাইরাল ভিডিও থেকে কপি করে নিজের মত করে মডিফাই করে ব্যবহার করতে পারবেন, কোন সমস্যা নাই। এখানে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই আপনি যে কারো ভিডিও ট্যাগ আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে সে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দিতে পারবেনা। কপিরাইট স্ট্রাইক ও দিতে পারবে না। এই ধরনের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই।
সাধারণত এই বিষয়গুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে ইউটিউবে যে কোনো ভিডিওই আপনার ভাইরাল হওয়া সম্ভব। তবে এটা বলা যায়না যে, কোন ভিডিও কখন ভাইরাল হয়ে যাবে! হয়তো অনেক ভাল কনটেন্ট অনেক সুন্দর করে SEO করা, অথচ তার ভিডিও টা ভাইরাল হয়নি, ফালতু একটা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় এরকম হয়। তবে এরকম খুব কমই হয়। আপনাকে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে উপরে যে রুলস গুলো বল্লাম এগুলো যদি আপনি মেনে চলেন, আপনার চ্যানেলে কোন না কোন ভিডিও রেংক করবে এবং কোন একটা ভিডিও চ্যানেলে যখন রেংক করবে, তখন আপনার আর পিছে ফিরে তাকানো লাগবেনা। আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে কন্টিনিউ ভিউস আসতে থাকবে এবং সাবস্ক্রাইব আসতে থাকবে।
আশা করতেছি আজকের এই ব্লগে ইউটিউব ভিডিও কিভাবে ভাইরাল করতে হয় বা চ্যানেলটাকে কিভাবে গ্রো অথবা রেংক করতে হয় এ বিষয় সম্পর্কে আপনারা একদম ক্লিয়ার হয়ে গেছেন। যদি আজকের এই ব্লগ টা আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আমাদের সাইটে আপনাকে নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল.. আসসালামুয়ালাইকুম!!
সুন্দর পোস্ট
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন